শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার, ই-কণ্ঠ অনলাইন:: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে সুপার টুয়েলভে দিনের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রুশোর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ২০৫ রান তুলে প্রোটিয়ারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০১ রানেই অল-আউট হয়ে যায় সাকিব বাহিনী।
হাই-স্কোরিং ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ো সূচনার ইঙ্গিতই দেন দুই ওপেনার। কিন্তু বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকা হয়নি কারও। শুধু দুই ওপেনারই নয়, পাওয়ার প্লেতে বিদায় নিয়েছেন মোট চারজন ব্যাটার। ৯ রানে শান্ত, ১৫ রানে সৌম্য, ১ রানে সাকিব ও ১ রানে সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন।
দক্সিণ আফ্রিকান বোলারদের সামনে লিটন ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারছিলেন না। ১১ রানে মেহেদি হাসান মিরাজ, শূন্য রানে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও ২ রানে নুরুল হাসান সোহান প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এদিকে একাই খেলতে থাকা লিটন দাস থেমেছেন ৩৪ রানে। আর শূন্যরানে হাসান মাহমুদ ও ১০ রানে তাসকিন আউট হন। আর ৯ রানে অপরাজিত থাকেন মোস্তাফিজ।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন এনরিখ নর্টজে। এছাড়া তিনটি উইকেট পেয়েছেন তাব্রিজ সামসি। আর একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন ক্যাগিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজ।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকান দলনেতা টেম্বা বাভুমা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই কটবিহাইন্ড হন বাভুমা। আউট হওয়ার আগে ২ রান করেন করেন।
এতেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ডি কক-রুশো মিলে বাংলাদেশি বোলারদের শাসন করে যান। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুতই বাড়তে থাকে রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৮১ বলে এসেছে ১৬৩ রান। ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণের পর ৬৩ রানে ফেরেন ডি কক। ৩৮ বলে খেলা ইনিংসটি আটটি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো। এছাড়া ৭ রানে ট্রিস্টান স্টুবস ও ১০ রানে এইডেন মার্করাম আউট হন।
এদিকে বিশ্বকাপের এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরির মালিক বনে গেলেন রিলে রুশো। আউট হওয়ার আগে করেন ১০৯ রান। মাত্র ৫৬ বলে খেলা রুশোর এই অনবদ্য ইনিসংটি সাতটি চার ও আটটি ছয়ে সাজানো। আর ২ রানে ডেভিড মিলার ও শূন্যরানে ওয়েন পার্নেল অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকটে নেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন।